Mutual Fund Investment: মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে এই ৫টি বিষয় জানা আবশ্যক! নইলে পড়তে হবে বিপদে

Updated on:

Mutual Fund Investment Tips: বর্তমান দিনে ‘মিউচুয়াল ফান্ড’ ট্রেন্ডের মত ভেসে চললেও, আগেকার সময়ে এই ফান্ডে বিনিয়োগ করতে গিয়ে কপালে ভাঁজ পড়ত অনেকেরই। তবে এখনকার সময়ে দাঁড়িয়েও অনেকেই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করবেন ভেবেও হয়তো পিছিয়ে আসেন। তাই সঠিক তথ্য না জেনেই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার মত বোকামির কাজটি করবেন না। এই ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে জেনে নিন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আজকের এই প্রতিবেদনে এমন কয়েকটি জিনিস নিয়ে আলোচনা করা হবে, যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে কী কী ঝুঁকি থাকতে পারে এবং কোন কোন জিনিসগুলি মাথায় রেখে বিনিয়োগ করা উচিত।

Mutual Fund Investment Tips: মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের নিয়ম

আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ করতে চাইছেন তাহলে বিনিয়োগ করার আগে যে যে জিনিসগুলি মাথায় রাখতে হবে সেগুলি নিচে আলোচনা করা হলো।

বিনিয়োগের ধরন এবং উদ্দেশ্য

মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। আপনি কতটা ঝুঁকি নিয়ে কোন বিভাগে বিনিয়োগ করতে চাইছেন, সেটি প্রথমে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে। বিনিয়োগ দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথা: স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার সময়ে এই বিষয়গুলি ভেবে রাখা দরকার। সাধারণত স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লিকুইড ফান্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অপরদিকে, ইকুইটি ফান্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে।

পুঁজি নির্ধারণ

যেকোনও ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগেই নিজের পকেটের দিকে নজর দেবেন। পকেটের অংক মোটা না হলে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন। ফলত, মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি করার আগে বিনিয়োগকারীর পুঁজি যেন মোটা অংকের হয় সেই দিকে নজর রাখতে হবে।

রিটার্ন এর ক্ষেত্রে ঝুঁকি

মিউচুয়াল ফান্ডে যারা বিনিয়োগ করেন, তাদের মধ্যে অনেকেই ‘আলফা’ নামক শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। আলফা হল মিউচুয়াল ফান্ড ম্যানেজারের পারফরম্যান্স সূচক। নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য বলে রাখি, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দরকার হবে ফান্ড ম্যানেজারের। যেটি খুঁজতে গিয়ে আপনাকে সম্মুখীন হতে হবে ‘আলফা’ নামক একটি শব্দের। ম্যানেজারের লাভ এবং ক্ষতি নির্ধারণ করা যায় এই আলফার নিরিখেই। রিটার্ন এর ক্ষেত্রে বলে রাখি, আলফার মাধ্যমে পজিটিভ এবং নেগেটিভ সূচক নির্ধারণ করা হয়। আপনার বিনিয়োগ করা ফান্ডে, যদি আলফা সূচক ‘পজিটিভ’ হয়, তবে বুঝে নেবেন আপনার করা বিনিয়োগ মোটা অংকের লাভের দিকে এগোচ্ছে। পাশাপাশি,আলফা সূচকের রেজাল্ট ‘নেগেটিভ’ হলে বুঝে নেবেন আপনার করা বিনিয়োগের রিটার্ন লসের দিকে রান করছে। এই রেটিং দেওয়া হয় প্রতি তিন মাস অন্তর।

মিউচুয়াল ফান্ডে রিটার্ন ক্যালকুলেন করুন » Calculate Now

নিখুঁত মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম

যেকোনও বিষয়েই পা বাড়াতে হলে তার সম্পর্কে একটু বুঝে নেওয়া প্রয়োজন। তাই আপনি যদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিজে এক্সপার্ট না হয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই অপরের থেকে পরামর্শ নিয়ে নিজের সুবিধামতো একটি নিখুঁত মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম খুঁজে নিয়ে নির্দ্বিধায় তাতে বিনিয়োগ করুন।

সমস্ত ক্যাপিটাল বিনিয়োগ করবেন না

মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে আপনাকে যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে, ‘একটি নির্দিষ্ট ধরনের ফান্ডে আপনার সমস্ত ক্যাপিটাল বিনিয়োগ না করা।’ কারণ প্রতিটি ধরনের মিউচুয়াল ফান্ডের কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। তাই প্রথমেই অন্ধবিশ্বাস করে নিজের সমস্ত ক্যাপিটাল আগে থেকে বিনিয়োগ করবেন না। আপনি যে স্কিমটি নির্বাচন করবেন, তার উপর ভিত্তি করে এসআইপি-এর মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে প্রথমে 500 টাকা বিনিয়োেগ দিয়ে শুরু করতে পারেন।

অর্থনীতি সংক্রান্ত আরোও প্রতিবেদন পড়ুন » Visit Home Page

মিউচুয়াল ফান্ড সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর (F.A.Q)

মিউচুয়াল ফান্ড মানে কি?

মিউচুয়াল ফান্ড হল বিনিয়োগকারীদের টাকা একসঙ্গে পুঞ্জিভূত করে ফান্ড ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলি কোন শেয়ার বা বন্ড ও ইত্যাদি জায়গায় বিনিয়োগ করা।

মিউচুয়াল ফান্ড কত প্রকার?

সাধারণত মিউচুয়াল ফান্ডের তিনটি প্রকারভেদ রয়েছে: (১) লার্জ ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড, (২) মিড ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড, (৩) স্মল ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড।

মিউচুয়াল ফান্ড ক্যালকুলেটর?

মিউচুয়াল ফান্ডের রিটার্ন ক্যালকুলেশন করার জন্য যেকোনো ক্রোম ব্রাউজারে Mutual Fund Calculator লিখে সার্চ করলে মিউচুয়াল ফান্ড ক্যালকুলেটর পেয়ে যাবেন।